লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে :
(ক) কেন্দ্রীয় সমিতিতে চিকিৎসা সেবার মান ও পরিধি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং যথাশীঘ্র সম্ভব সমিতি ভবনে একটি ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করা যায় সরকারের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অর্থানুকূল্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যাবে।
(খ) উত্তরায় রাজউক থেকে এক বিঘা জমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ জমিতে একটি জেরিয়াট্রিক হাসপাতালসহ একটি বৃদ্ধাশ্রম করার পরিকল্পনা রয়েছে।
(গ) ৬৪ জেলার মধ্যে যে সকল জেলায় নিজস্ব অফিস ঘর নেই সে সকল জেলায় অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সমিতির বিদ্যমান কর্মসুচী :
১। ঢাকাস্থ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে সমিতির সদস্য ও তাদের স্বামী এবং স্ত্রীদের সাশ্রয়ী মূল্যে নিম্নোক্ত চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য বহিরাগত রোগীদেরও সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা এই কেন্দ্রে রয়েছে।
ক. বছরে একবার বিনামূল্যে দম্পতিসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
খ. হ্রাসকৃত হারে সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল ও বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষা।
গ. স্বল্প খরচে আল্ট্রাসনোগ্রাম, ই সি জি ও ইকো কার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা।
ঘ. সাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থা।
ঙ. গাইনী চিকিৎসা।
চ. চক্ষুরোগ চিকিৎসা।
ছ. হৃদরোগ চিকিৎসা।
জ. দন্তরোগ চিকিৎসা।
ঝ. ফিজিক্যাল মেডিসিন ও ফিজিও থেরাপি ।
ঞ. নাক-কান-গলার চিকিৎসা।
ট. ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা।
ঠ. হোমিওপ্যাথ চিকিৎসা।
২। কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ে স্বল্প আয়ের পেনশনকারীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান।
৩। কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ে স্বল্প আয়ের ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পেনশনারদের আর্থিক অনুদান প্রদান।
৪। দুস্থ পেনশনারদের রোগ-ব্যাধি, দুর্ঘটনা, কন্যার বিয়ে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে যুক্তিসংগত আর্থিক সাহায্য প্রদান।
৫। প্রত্যেক জেলায় অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের চিকিৎসার জন্য একজন করে খন্ডকালীন চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। কেন্দ্রীয় সমিতি থেকে তাদের সম্মানী প্রদান করা হয় এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য সময় সময় আর্থিক মঞ্জুরী প্রদান করা হয়।
৬। প্রত্যেক জেলা সমিতির অফিস পরিচালনার জন্য আর্থিক মঞ্জুরী প্রদান।
৭। বিভিন্ন প্রকার বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান যথা -বনভোজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঈদ-পুনর্মিলনী, মিলাদ মাহফিল, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, অন্তকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের প্রধান সমস্যাসমূহ সমাধানের উপর দৃষ্টি আকর্ষণমূলক আলোচনা সভা, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করা।
৮। ‘‘অবসর জীবন’’ নামে একটি ষান্মাসিক পত্রিকা ও ‘‘অবসর বার্তা’’ নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ।
৯। সমিতি ভবনে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার আছে। পাঠাগারের সংগ্রহে কয়েক সহস্র পুস্তক আছে। প্রতিবছর পুস্তকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
১০। জেলা থেকে আগত সদস্যদের বাসস্থানের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সমিতিতে একটি গেস্ট হাউস বিদ্যমান রয়েছে।

১১। অবসরপ্রাপ্তদের কল্যাণার্থে ‘পেনশন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।

১২। অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের বর্ধিত হারে আর্থিক সুবিধা যেমন – পেনশন বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ প্রাপ্তির লক্ষ্যে সমিতি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমূহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে।